এলসি খোলা ও নিষ্পত্তি বেড়েছে

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে আমদানির অচলাবস্থা কাটতে শুরু করেছে। বিশেষ করে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। একই সঙ্গে খাদ্যপণ্য আমদানি অনেকটা হঠাৎ করে বেড়ে গেছে। যদিও বৈদ্যুতিক খাতের যন্ত্রপাতি ও খাদ্যপণ্য আমদানি বৃদ্ধিকে অর্থপাচারের আশঙ্কা হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) নিষ্পত্তি হয়েছে ১,৭৭৯ কোটি ৭৭ লাখ ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১,৫৯৪ কোটি ৯১ লাখ ডলার। সে হিসাবে প্রায় ১২% পণ্য আমদানি বেড়েছে। প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, চলতি অর্থবছরের ৬ মাসে পণ্য আমদানিতে ১,৮৮১ কোটি ডলারের ঋণপত্র খোলা হয়েছে, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১,৭০৫ কোটি ৪২ লাখ ডলার। সে হিসাবে আমদানি ঋণপত্র খোলার হার বেড়েছে ১০.৩০%। দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বেসরকারি খাতের নেতিবাচক ঋণ প্রবাহের মধ্যেও মূলধনী যন্ত্রপাতি, শিল্পে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি, শিল্পের কাঁচামাল, মধ্যম পণ্য ও খাদ্যপণ্য আমদানি অনেক বেড়ে গেছে। এ সময়ে শুধু পেট্রল ও পেট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্য আমদানি নিষ্পত্তি কমেছে।
যদিও পেট্রল আমদানিতে ঋণপত্র খোলার হার বেড়েছে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০১২-১৩ অর্থবছরের তুলনায় চলতি অর্থবছরের ছয় মাসে খাদ্যপণ্যে ৩৭.৯৭, মধ্যম পণ্য ৩.৩১, শিল্পে ব্যবহৃত কাঁচামালে ১১.৬১, মূলধনী যন্ত্রপাতিতে ১৬.৬০, বিভিন্ন শিল্পের যন্ত্রপাতিতে ২০.৫৩ এবং অন্যান্য পণ্যে ১৮.৩৫% আমদানিতে নিষ্পত্তি বেড়েছে। এ সময় শুধু পেট্রল ও পেট্রোলিয়াম জাতীয় পণ্য আমদানি কমেছে ১৬.১৪%। প্রতিবেদনে আরও দেখা গেছে, ২০১৩-১৪ অর্থবছরের ডিসেম্বর মাসে ৩৪৩ কোটি ৯০ লাখ ডলারের সমপরিমাণ ঋণপত্র খোলা হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই মাসে ছিল ২৮২ কোটি ৬৬ লাখ মার্কিন ডলার। সে হিসাবে ডিসেম্বরে এলসি খোলার হার বেড়েছে ২১.৬৭%। অন্যদিকে নভেম্বর মাসের তুলনায় ডিসেম্বরে ঋণপত্র খোলার হার বেড়েছে ১৫.৫২%। একইভাবে ডিসেম্বরে ৩০৫ কোটি ২৯ লাখ ডলারের সমপরিমাণ ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২৫৪ কোটি ৩১ লাখ ডলার। সে হিসাবে ডিসেম্বরে এলসি নিষ্পত্তি বেড়েছে ২০.০৫%। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একক মাস হিসেবে ডিসেম্বরে চাল আমদানিতে ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছে ১ কোটি ২৪ লাখ এবং খোলা হয়েছে ২ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। গম আমদানিতে ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছে ৫ কোটি ৭৬ লাখ ডলার, খোলা হয়েছে ১০ কোটি ২২ লাখ ডলার। চিনি আমদানিতে ৭২ লাখ ডলারের ঋণপত্র খোলা হলেও নিষ্পত্তি হয়েছে ৭ কোটি ২৬ লাখ ডলার। 
সূত্র: দৈনিক মানবজমিন, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০১৪

,

0 comments

আপনার মন্তব্য লিখুন