ব্যাংকের বিরুদ্ধে ১২০০০ অভিযোগ

ব্যাংকিং খাতে অনিয়মের ছড়াছড়ি। ক্ষুদ্র থেকে বৃহৎ অনিয়ম চলছে হরদম। ২০১২ সাল থেকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত নানা প্রকারের অনিয়মের অভিযোগ এসেছে প্রায় ১২ হাজারের কাছাকাছি। তবে এসব অভিযোগ নিষ্পত্তিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে। সে কারণে এ পর্যন্ত অভিযোগ নিষ্পত্তির হারও সন্তোষজনক অবস্থানে রয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্টের উপ-মহাব্যবস্থাপক স্বপন কুমার রায় মানবজমিনকে জানান, অভিযোগের একটি অংশ টেলিফোনে নিষ্পত্তি করা হয়। বিশেষত যে সব অভিযোগ অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ। তবে অধিকাংশ অভিযোগ লিখিতভাবে নিষ্পত্তি করা হয়। এ ক্ষেত্রে অভিযোগের ধরন দেখে সময় দেয়া হয়। সাধারণত কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়। যার সময় দেয়া হয় এক সপ্তাহ। এ সময়সীমার মধ্যে নিষ্পত্তি হলে ভাল। না হয় কঠোর অবস্থানে যাওয়া হয়। আর গুরুতর অনিয়মের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সময় নিয়ে কাজ করা হয়। যার সুফলও পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করেন এ কর্মকর্তা। ব্যাংকাররা জানিয়েছেন, ব্যাংকিং খাতে অনিয়ম উদ্ঘাটনে ডিবিআইসহ অনেক বিভাগ রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি অ্যান্ড কাস্টমার সার্ভিসেস ডিপার্টমেন্ট (এফআইসিএসডি) সবচেয়ে ভাল করছে। ইতিমধ্যে এফআইসিএসডি’র বড় বড় ঋণ জালিয়াতি উদ্ঘাটনের ফলে এক মাসের ব্যবধানে বেসরকারি খাতের দুই ব্যাংকে পর্যবেক্ষক বসিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ন্যাশনাল ও মার্কেন্টাইল ব্যাংকে ব্যাপক আর্থিক অনিয়ম সংঘটিত হয়েছে। তাদের ওই অনিয়ম রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকে গ্রাহক অভিযোগ জমা পড়েছে ১১,৯৭৫টি। এর মধ্যে নিষ্পত্তি করা হয়েছে ১১,৮৯৬টি। ফলে অনিষ্পত্তি অবস্থায় রয়েছে মাত্র ৭৯টি অভিযোগ। প্রতিবেদনে দেখা যায়, সেপ্টেম্বর মাসে মোট গ্রাহক অভিযোগ আসে ৩৬১টি। এর মধ্যে টেলিফোনে ৬৭টি। বাকি ২৯৪টি আসে লিখিতভাবে। আগের মাস আগস্টে অনিষ্পন্ন ১১২টি সহ মোট ৪৮৩টি অভিযোগের মধ্যে সেপ্টেম্বরে নিষ্পত্তি করা হয় ৪০৪টি অভিযোগ। এ সময়ে অনিষ্পন্ন অবস্থায় রয়েছে ৭৯টি অভিযোগ। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, টেলিফোনে ও লিখিতভাবে সাধারণ ব্যাংকিং সংক্রান্ত ৯৫টি, ঋণ ও অগ্রিম সংক্রান্ত ৫২টি, মেয়াদোত্তীর্ণ স্বীকৃত বিল সংক্রান্ত অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ৭৩টি, বৈদেশিক বাণিজ্য সংক্রান্ত ১৩টি, জাল জালিয়াতি সংক্রান্ত ১৫টি, কার্ড সংক্রান্ত ১৩টি, মোবাইল ব্যাংকিং সংক্রান্ত ১টি, ব্যাংক গ্যারান্টি সংক্রান্ত ১৮টি, রেমিটেন্স সংক্রান্ত ৪টি ও অন্যান্য অভিযোগ জমা পড়ে ৭৭টি। সূত্র: দৈনিক মানবজমিন, ১০ নভেম্বর ২০১৪

,

0 comments

আপনার মন্তব্য লিখুন