বিডিবিএলের মুনাফা বেড়েছে ১৪১ শতাংশ

সদ্যসমাপ্ত ২০১৩ সালে বেশির ভাগ ব্যাংকের মুনাফা কমলেও রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বিশেষায়িত ব্যাংক বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেডের (বিডিবিএল) পরিচালন মুনাফা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। এ সময়ে ব্যাংকটি ২৪৮ কোটি টাকার মুনাফা করেছে যা আগের বছরের তুলনায় ১৪১ শতাংশ বেশি। এর পাশাপাশি ব্যংকের অন্য সূচকেও যথেষ্ঠ উন্নতি হয়েছে। সূত্র জানায়, ২০১২ সালে বিডিবিএল ১০৩ কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করেছিল। সেই হিসেবে ২০১৩ সালে ১৩৫ কোটি টাকা বেশি মুনাফা করেছে, যা গতবছরের চেয়ে ১৪১ শতাংশ বেশি। ২০১১ সালে ব্যাংকের মুনাফা ছিল ৮৬ কোটি ১১ লাখ ও ২০১০ সালে ৮২ কোটি ২৪ লাখ টাকা। উচ্চহারে মুনাফা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বিডিবিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. জিল্লুর রহমান বলেন, জেনারেল ব্যাংকিং ও বৈদেশিক বাণিজ্য শুরু করার পাশাপাশি বৃহৎ আকারে ট্রেজারি কার্যক্রম গ্রহণ করায় গতবছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ মুনাফা অর্জন সম্ভব হয়েছে। এছাড়া গতবছর উল্লেখযোগ্য পরিমাণ আমানত সংগ্রহ করায় সেখান থেকেও বড় ধরনের আয় এসেছে। তিনি জানান, বর্তমানে ব্যাংকটি এসএমই ও কৃষিতে অর্থায়ন করছে। ইতিমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে চারটি পুনঃঅর্থায়ন তহবিলের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। এতে ব্যাংক রেটে ২৫ কোটি টাকার বিনিয়োগের সুযোগ  পেয়েছে বিডিবিএল। সূত্র জানায়, রাষ্ট্রীয় খাতের মধ্যে একমাত্র বিডিবিএলই নিয়ম মেনে প্রভিশন সংরক্ষণ করতে পেরেছে। বর্তমানে ব্যাংকটিতে কোন প্রভিশন ঘাটতি নেই এবং প্রয়োজনীয় ৪০০ কোটি টাকার মূলধনের বিপরীতে প্রায় এক হাজার ১৫০ কোটি টাকার মূলধন সংরক্ষিত রয়েছে। জিল্লুর রহমান বলেন, মাত্র ১৪২ কোটি টাকার আমানত নিয়ে যাত্রা শুরু করা বিশেষায়িত এই ব্যাংকের বর্তমানে আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা। বর্তমানে অন্যান্য সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের মতো গ্রাহকরা এখানে আমানত রাখতে আগ্রহী হচ্ছে। উল্লেখ্য, বছর শেষে ব্যাংকটির শাখা দাঁড়িয়েছে ২৮টিতে। ব্যাংকটির ১৭টি শাখা মুনাফা অর্জন করেছে। গতবছর ৭টি নতুন শাখা খোলা হয়েছে। চলতি বছরে আরও ১৫টি নতুন শাখা খোলার পাশাপাশি মোবাইল ব্যাংকিং চালুর পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানান ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী। 
সূত্র: দৈনিক মানবজমিন, ৫ জানুয়ারী ২০১৩

,

0 comments

আপনার মন্তব্য লিখুন