মুদ্রানীতি ঘোষণা আজ

প্রবৃদ্ধির চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আজ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন গভর্নর ড. আতিউর রহমান। এবারের মুদ্রানীতিতে গুরুত্ব পাচ্ছে চলতি অর্থবছরের বাজেটে প্রাক্কলিত মোট জাতীয় উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭.২% অর্জনের বিষয়টি। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে ধরে রাখার চেষ্টাও থাকবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, সবকিছু বিবেচনায় চলতি অর্থবছরের (২০১৩-১৪) প্রথম ছয় মাসের মুদ্রানীতিভঙ্গি আগের মুদ্রানীতির মতোই থাকছে। আগের ২ বছর ধরে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি দিলেও গত অর্থবছরের শেষ ৬ মাস এবং চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসের জন্য কিছুটা সমপ্রসারণমূলক মুদ্রানীতি দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অবশ্য সেটাকে সংকোচণমূলক বা সমপ্রসারণমূলক কিছুই না বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেটাকে ভারসাম্যমূলক মুদ্রানীতি নামকরণ করেছিল।
চলতি বছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) মুদ্রানীতিতে ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি ঊর্ধ্বসীমার ধরা হয়েছিল ১৫.৫%। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪.৪১%। আর আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় তা বেড়েছে ১১.১৩%। অন্যদিকে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মূল্যস্ফীতিও মুদ্রানীতিতে নির্ধারিত সীমায় ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। জানা গেছে, নতুন মুদ্রানীতির অন্যতম লক্ষ্য থাকবে উৎপাদন বাড়িয়ে এবং আমদানি নির্ভরতা কমানো। রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ও নতুন বিনিয়োগে গতিশীলতা আনতে প্রবৃদ্ধি-সহায়ক নীতি অব্যাহত থাকবে। কৃষি ও এসএমই খাতগুলোতে পর্যাপ্ত অর্থায়নসহ আর্থিক খাতের সেবার আওতায় দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে আনার জন্য মুদ্রা ও ঋণনীতি সক্রিয় থাকবে। অন্যদিকে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে অপচয়ী এবং অনুৎপাদনশীল যেমন বিবাহ ঋণ, বিলাসী পণ্য ক্রয় খাতে ঋণের প্রসার নিরুৎসাহিত করা হবে। এছাড়া প্রবাসী প্রবাসীদের রেমিট্যান্স প্রবাহ জোরদারে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের কথা মুদ্রানীতিতে উল্লেখ থাকবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতি ৬ মাস অন্তর আগাম মুদ্রানীতি ঘোষণা করে থাকে। দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনায়  মুদ্রানীতি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর মাধ্যমে পরবর্তী ছয় মাসে অভ্যন্তরীণ ঋণ, মুদ্রা সরবরাহ, অভ্যন্তরীণ সম্পদ, বৈদেশিক সম্পদ কতটুকু বাড়বে বা কমবে তার একটি পরিকল্পণা তুলে ধরা হয়। মুদ্রানীতি চূড়ান্ত করতে অন্যান্য বছরের মতো এবারও বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, বিশিষ্ট ব্যাংকার, প্রাক্তন গভর্নর, প্রাক্তন মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে পরামর্শ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নেয়া হয়েছে ব্যাংকের ওয়েবসাইটেও এ সংক্রান্ত মতামত। 
সূত্র: দৈনিক মানবজমিন, ২৭ জানুয়ারি ২০১৪

,

0 comments

আপনার মন্তব্য লিখুন