সরকারি নির্ভরশীলতা থেকে বের হতে পারেনি বিএইচবিএফসি

প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখনও নিজস্ব তহবিল গঠন করতে পারেনি বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি)। অন্যদিকে ক্রমবর্ধমান হারে ঋণের চাহিদা বাড়তে থাকায় সরকারের ওপর প্রতিষ্ঠানটির নির্ভরশীলতা বেড়েই চলছে। বের হতে পারছে না প্রতিষ্ঠানটি। গৃহায়ন খাতে দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক সহায়তা দিতে ১৯৫২ সালে প্রতিষ্ঠা হয় হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন। ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স করপোরেশন (বিএইচবিএফসি) হিসেবে পুনর্গঠিত হয় এটি। কিন্তু মূলধনস্বল্পতায় ৪০ বছরেও স্বাবলম্বী হতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। ফলে বিভিন্ন দায় মেটানোর পর যে মুনাফা হয়, তা দিয়ে ঋণদান কার্যক্রম চালানো দুরূহ হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে বিএইচবিএফসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোহাম্মদ নুরুল আলম তালুকদার বলেন, করপোরেশনের নিজস্ব তহবিল নেই। সরকার যদি টাকা দেয়, তবেই আমরা চাহিদা মোতাবেক ঋণ মঞ্জুর করতে পারি। তিনি বলেন, চাহিদা অনুযায়ী সরকারকে টাকা দিতে হবে অথবা করপোরেশনকে বিশেষায়িত ব্যাংকে রূপান্তর করে বাজার থেকে মূলধন সংগ্রহের সুযোগ দিতে হবে। তাহলে ভালভাবে সেবা দেয়া সম্ভব। বিএইচবিএফসি সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩-২০১৪ অর্থবছরের অর্ধ-বার্ষিক সময়ে ৮৫.৭৬ কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করেছে। জুলাই/২০১৩ হতে ডিসেম্বর/২০১৩ পর্যন্ত সময়ে করপোরেশনের মোট আয়ের পরিমাণ ১২২.০৪ কোটি টাকা, গত অর্থবছরের এই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ১১১.৯৭ কোটি টাকা এবং ব্যয়ের পরিমাণ ৩৬.২৮ কোটি টাকা। এ সময়ে ঋণ মঞ্জুরির পরিমাণ ২২২.২০ কোটি টাকা, ঋণ বিতরণের পরিমাণ ২২৫.৯৭ কোটি টাকা ও আদায় হয়েছে ২০০.৪৫ কোটি টাকা। ফলে সমুদয় ঋণের ব্যালেন্স দাঁড়িয়েছে ২,৯২৯.৮৪ কোটি টাকা, যা ডিসেম্বর/২০১২ এর তুলনায় ৮.৫৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। 
সূত্র: দৈনিক মানবজমিন, ৬ জানুয়ারী ২০১৪

,

0 comments

আপনার মন্তব্য লিখুন