ব্র্যাক ব্যাংকের ই-ব্যাংকিং সংশোধনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কড়াকড়ি আরোপ
ব্র্যাক ব্যাংকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং প্রক্রিয়ায়
প্রয়োজনীয় পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গত মঙ্গলবার
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ফিন্যান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি ও কাস্টমার সার্ভিসেস বিভাগ
এ-সংক্রান্ত একটি চিঠি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের (এমডি) কাছে
পাঠিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, আপনাদের ইন্টারনেট ব্যাংকিং ব্যবস্থা মোবাইলের
নম্বর তথা সিমভিত্তিক। সিমকার্ড সহজে স্থানান্তর করে অর্থ অন্য হিসেবে
সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। অথচ আপনারা যথাসময়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা পড়া অভিযোগে এ পর্যন্ত আমানতকারীদের ১৮ লাখ ৭৩ হাজার
৮৭১ টাকা খোয়া যাওয়ার প্রমাণ মিলেছে। ব্র্যাকের ইন্টারনেট ব্যাংকিং
পদ্ধতিতে ত্রুটি থাকায় আগামী ৩১শে মার্চের মধ্যে জালিয়াতকৃত অর্থ গ্রাহকের
হিসাবে ফেরত দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে ব্যাংকের অনেক সেবা
মোবাইল নম্বরের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় সিমকার্ড রেজিস্ট্রেশন ও পুনরায়
ইস্যুর ক্ষেত্রে প্রকৃত গ্রাহকের যথার্থতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ
টেলিকমিউনিকেশন্স রেগুলেটরি কমিশনকে (বিটিআরসি) অনুরোধ জানানো হয়েছে।
অন্যথায় মোবাইল অপারেটদের কাছ থেকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ আদায়ে ব্যবস্থা
গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে। ব্র্যাককে দেয়া কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চিঠিতে
আরও বলা হয়েছে, ইন্টারনেট ব্যাংকিংয়ের পাসওয়ার্ড ফের নির্ধারণ প্রক্রিয়াটি
একই ব্যক্তির মাধ্যমে সম্পাদিত হয়। এতে জালিয়াত চক্রগুলো বিশেষ সুবিধা পেয়ে
থাকে। এ জন্য দুই স্তরের সঠিকতা যাচাই ও ২৪ ঘণ্টার টাইম গ্যাপ প্রয়োজন।
ব্যাংকটিকে আগামী ৩১শে মার্চের মধ্যে পাসওয়ার্ড পুনঃনির্ধারণ প্রক্রিয়া
সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সমপ্রতি ব্র্যাক ব্যাংকের
ওপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষ পরিদর্শন প্রতিবেদনে ব্যাপক অনিয়মের মাধ্যমে
অর্থ হাতিয়ে নেয়ার প্রমাণ মিলেছে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জালিয়াত চক্র
আমানতকারী গ্রাহকের মোবাইল সিম ও ই-মেইল একাউন্ট হ্যাক করে, এরপর ব্র্যাক
ব্যাংকের কলসেন্টারে ইন্টারনেট ব্যাংকিং পাসওয়ার্ড রিসেট করার জন্য ফোন
করে।
সূত্র: দৈনিক মানবজমিন, ২৩ জানুয়ারী ২০১৪
0 comments
আপনার মন্তব্য লিখুন