৬ মাসে তৈরি পোশাক রপ্তানি সন্তোষজনক

চলতি ২০১৩-১৪ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) তৈরি পোশাক রপ্তানির মূল বাজার ইউরোপ আমেরিকা থেকে সন্তোষজনক রপ্তানি আয় হয়েছে। চীন, ভারত, জাপান ও তুরস্কসহ নতুন বাজারেও রপ্তানি বেড়েছে গত বছরের তুলনায়। আলোচ্য সময়ে বাংলাদেশের গার্মেন্টস রপ্তানির সবচেয়ে বড় বাজার ২৭টি ইউরোপীয় দেশের জোট ইইউতে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২১ দশমিক ১০ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে ১৩ দশমিক ২৫ শতাংশ এবং উদীয়মান বাজারের ১১টি দেশে রপ্তানিতে গড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২০ শতাংশ। রপ্তানিতে নেতৃত্বদানকারী গার্মেন্টস খাতের রপ্তানি বাড়ায় সার্বিক রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ১৭ শতাংশ। তবে ডিসেম্বর মাসে এই রপ্তানি কিছুটা কমে সাড়ে ১০ শতাংশ হয়েছে।

গার্মেন্টস খাতের বড় একাধিক দুর্ঘটনায় বিশ্বব্যাপী নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া এবং গত কয়েক মাসের রাজনৈতিক অস্থিরতা সত্বেও রপ্তানি ভালো হওয়ায় উদ্যোক্তরা সন্তুষ্ট। তবে তারা বলছেন, রাজনৈতিক অস্থিরতা না থকলে এই রপ্তানি আয় আরো অনেক বেশি হওয়ার কথা। নতুন সরকার শপথ নেয়ার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আশা তাদের।

গার্মেন্টস রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ'র সাবেক সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, চীনের ছেড়ে দেয়া বাজারের বড় অংশ বাংলাদেশ পাওয়ার কথা। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতায় তা পাওয়া যায় নি। কর্মসংস্থানের বড় এই খাতটিকে নির্বিঘ্ন রাখতে সব পক্ষের সহায়তা চান তিনি।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বিজিএমইএ'র গবেষণা সেলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৭টি দেশ থেকে রপ্তানি আয় ৫৮২ কোটি মার্কিন ডলার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০৫ কোটি ডলারে। বেড়েছে ১২৩ কোটি ডলার। আর যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি আয় বেড়েছে ৩১ কোটি ডলার।

এর বাইরে নতুন বাজার হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ আফ্রিকা ও ব্রাজিল ছাড়া সব বাজারে রফতানি আয় বেড়েছে। এর মধ্যে তুরস্কে ১০৭ শতাংশ, চীনে ৬০ শতাংশ, রাশিয়ায় ৭৩ শতাংশ ও ভারতে ৫৩ শতাংশ রপ্তানি আয় বেড়েছে।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ১৬ জানুয়ারী ২০১৪

,

0 comments

আপনার মন্তব্য লিখুন