ডিসেম্বরের মধ্যেই পুনঃঅর্থায়নের টাকা বাজারে চায় ডিএসই

পুঁজিবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পুনঃঅর্থায়ন সহায়তা চলতি ডিসেম্বরের মধ্যেই দেয়ার দাবি জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রতিনিধিরা। তারা গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সঙ্গে বৈঠকে এ আহ্বান জানান। এ সময় গভর্নর তাদের দাবি অনুযায়ী চলতি মাসেই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বাস দেন।
প্রসঙ্গত, ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংকের মার্জিন ঋণের পুনর্মূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির (আনরিয়েলাইজড লস) বিপরীতে সঞ্চিতি (প্রভিশন) এবং ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পুনঃঅর্থায়ন সহায়তা দিতে ৯০০ কোটি টাকার তহবিলের প্রথম কিস্তির ৩০০ কোটি বণ্টনের বিষয়ে একটি বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে ডিএসইর বোর্ডরুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ডিএসই সভাপতি আহসানুল ইসলাম টিটু এ কথা বলেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএসইর সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান খান, পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন এবং ডিএসইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. স্বপনকুমার বালা।
ডিএসইর সভাপতি বলেন, আমাদের বৈঠকে তিনটি বিষয় তুলে ধরা হয়। এগুলো হলো ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংকের মার্জিন ঋণের পুনর্মূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির (আনরিয়েলাইজড লস) বিপরীতে সঞ্চিতির (প্রভিশন) সময় আগামী বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা। পুনঃঅর্থায়ন ৯০০ কোটি টাকা দ্রুত ছাড় এবং তিন কিস্তিতে প্রভিশনিং করার সুবিধা।
তিনি বলেন, আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর বলেছেন, প্রভিশনিংটা যেহেতু ব্যাংকের সঙ্গে সম্পর্কিত তাই দাবিটি তাদের পক্ষ থেকে করার জন্য বলা হয়েছে। টিটু বলেন, পুঁজিবাজারের ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পুনঃঅর্থায়ন সহায়তার ৯০০ কোটি টাকার তহবিলের ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, আমরা এ ব্যাপারে যথেষ্ট আন্তরিক। আমাদের সদিচ্ছার কোনো ঘাটতি নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসই সভাপতি বলেন, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য পুনঃঅর্থায়নের তদারকি কমিটি অহেতুক শর্তগুলো জুড়ে দিয়েছে। এ সময় তিনি বলেন, এ শর্তগুলো ব্যক্তিকেন্দ্রিক না করে প্রতিষ্ঠানকেন্দ্রিক করলে অনেক বাজারের টাকাটা আসতে সহজ হবে। এর আগে ১৮ নভেম্বর বিকালে ডিএসইতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে আনরিয়েলাইজড লসের বিপরীতে ২০ শতাংশ প্রভিশনিং সুবিধা আরো দুই বছর বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিল ব্যাংক ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো। বৈঠকে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বর্তমানে ২২টি ব্যাংক ব্রোকারের ৫ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা আনরিয়েলাইজড লস রয়েছে। কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলতি বছরে ডিসেম্বরের মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানকে প্রভিশন সংরক্ষণের বিশেষ নির্দেশনা (২০ শতাংশ) পালন করতে হবে। কিন্তু ২২টি ব্যাংক এ শর্ত পরিপালনে সক্ষম হয়নি।
সূত্র: দৈনিক যায় যায় দিন, ৪ ডিসেম্বর ২০১৩

,

0 comments

আপনার মন্তব্য লিখুন