কাঠামোগত দুর্বলতা আর্থিক অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যকে নষ্ট করতে পারে

ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে বিভিন্ন খাতে অর্থায়ন প্রবাহ সমাজের বিভিন্ন স্তরের জনগোষ্ঠীর ভাগ্যোন্নয়নের সুযোগ তৈরি করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি অভিযান কৃষি এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ (এসএমই) খাতগুলোয় অর্থায়ন প্রবৃদ্ধি বাড়াচ্ছে। তবে কাঠামোগত দুর্বলতা বা অসতর্কতা এ উদ্যোগের অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জনকে বিঘ্নিত করছে। শুক্রবার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম) আয়োজিত ব্যাংকিং পেশায় ন্যায়ানুগতার ওপর ১৩তম নুরুল মতিন স্মারক বক্তৃতায় অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক সনত্ কুমার সাহা এসব কথা বলেন।

রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান, বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। সনত্ কুমার সাহা এথিক্যাল কনসিডারেশন ইন দ্যা বিজনেস অব ব্যাংকিং বিষয়ে বক্তৃতা করেন। বিআইবিএম প্রতি বছর এ স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করে থাকে।

অবকাঠামো দুর্বলতা ও ঋণের অনৈতিক অপব্যবহার বিষয়ে অধ্যাপক সনত্ কুমার সাহা যে আশঙ্কা প্রকাশ করেন সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক এসব বিষয়ে সচেতন ও সক্রিয় রয়েছে। বিভিন্ন খাতের অর্থায়ন সুবিধাগুলো প্রভাবশালী মহল ও সংশ্লিষ্টদের অনৈতিকভাবে অপব্যবহার প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ রয়েছে বলেও জানান গভর্নর।

ড. আতিউর রহমান বলেন, ব্যাংকঋণ মঞ্জুরি ও বিতরণের পর্যায়ক্রমিক প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট সবার অর্থাত্ পরিচালনা পর্ষদ থেকে শাখা পর্যায় পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট সবার সুস্পষ্ট দায়বদ্ধতা, জবাবদিহিতা ও কার্যকর অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা সম্পন্ন কর্পোরেট সুশাসন দৃঢ় ও জোরদার করা হয়েছে। ব্যাংকগুলোর ঋণ সম্পদের গুণগত মান ঠিক রাখতে মাপকাঠিগুলো আন্তর্জাতিক মানের পর্যায়ে উন্নীত করা হচ্ছে। এছাড়া তদারকি শৃঙ্খলা কঠোরতর করার পাশাপাশি বৈরী পরিস্থিতিতে অর্থায়ন সচল রাখারও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় এসএমই খাতসহ উত্পাদনমুখী খাতগুলোয় অর্থায়ন ব্যয় সাশ্রয়ী ও অব্যাহত রাখতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৩

,

0 comments

আপনার মন্তব্য লিখুন