আইপিও আবেদনে বঞ্চিত হলেন বিনিয়োগকারীরা

একই দিনে এক কোম্পানির আইপিও লটারির ড্র এবং আরেক কোম্পানির আইপিও আবেদন জমার শেষ দিন হওয়ায়, এতে নিশ্চিতভাবে একটি কোম্পানির আইপিও থেকে বঞ্চিত হতে যাচ্ছে কিছু শেয়ারহোল্ডার। এমনকি কোন কোন শেয়ারহোল্ডারের দ্বিতীয় কোম্পানির আইপিওতে আবেদনের সুযোগই পাননি। বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এ ধরনের সিদ্ধান্তের কারণে এমনটিই ঘটেছে বলে অভিযোগ বিনিয়োগকারীদের। তাই আইপিও আবেদনের সময় নির্ধারণে বিএসইসিকে আরও আন্তরিক হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তারা। তাদের অভিযোগ, গত ৭ই নভেম্বর এ্যাপোলো ইস্পাতের আইপিও লটারির ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ কোম্পানির লটারিতে যারা বিজয়ী হতে পারেননি, তারা একসঙ্গে দুটি কোম্পানির আইপিও থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। কারণ আরেক কোম্পানি মোজাফফর হোসাইন স্পিনিং মিলসের আবেদনের সময়ও শেষ হয়েছে ৭ই নভেম্বর। তাই ইচ্ছে থাকলেও যথেষ্ট অর্থের অভাবে অনেক বিনিয়োগকারী আবেদন করতে পারেননি মোজাফফর হোসাইন স্পিনিংয়ের আইপিওতে। কারণ একটি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে তা ফেরত পাওয়ার আগেই আরেক কোম্পানিতে আবেদনের সময় পার হয়ে গেছে। পাশাপাশি যারা এ্যাপোলো ইস্পাতের আইপিও বিজয়ী হয়েছেন, তাদের মধ্যেও অনেকে মোজাফফর হোসাইন স্পিনিংয়ের আইপিওতে আবেদন করতে সমর্থ হননি। এ প্রসঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংককে আইপিও জমা দিতে আসা এক বিনিয়োগকারী বলেন, তার চারটি বিও অ্যাকাউন্ট থাকলেও সে জমা দিচ্ছে ২টি। কারণ তার হাতে টাকা নেই। সে অন্য সবার মতো ২০১০-এর ধসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই এখন তার কাছে ৫-১০ হাজার টাকা অনেক কিছু। তাছাড়া, শেয়ারবাজার লোকসানে থাকায় এখন কেউ এ ব্যবসায় টাকাও ধার দিতে চায় না। দুটি আইপিও’র মাঝখানে যদি উল্লেখযোগ্য ব্যবধান থাকতো, তাহলে আমরা মোজাফফর স্পিনিংয়ে আইপিও আবেদন করতে পারতাম। বাজার বিশ্লেষকদের মতে, ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কথা বিবেচনা করে আগামীতে আইপিও আবেদনের তারিখ নির্ধারণে যথেষ্ট মনোযোগের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ ধসের পরে আন্ডার সাবস্ক্রাইবের মতো ঘটনা ঘটেছিল কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে। এ ধরনের ঘটনা সাধারণ বিনিয়োগকারী এবং আইপিওতে আসা কোম্পানি উভয়ের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে, যা আইপিও বাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
সূত্র: দৈনিক মানবজমিন, ১১ নভেম্বর ২০১৩

,

0 comments

আপনার মন্তব্য লিখুন