জনপ্রিয় হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং

দেশের ব্যাংকিং খাতে ঘটছে তথ্যপ্রযুক্তি সর্বোচ্চ ব্যবহার। সব বেসরকারি ও কম-বেশি সরকারি ব্যাংকগুলোর অধিকাংশ শাখাই এখন আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য পেমেন্ট সিস্টেম ব্যবস্থা চালু করেছে। এর আওতায় রীতিমতো বাংলাদেশের ব্যাংকং খাতে বিপ্লব সৃষ্টি করেছে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম।
এ ব্যবস্থার মাধ্যমে মোবাইল ফোন অপারেটরের সহযোগিতায় মানুষের মৌলিক কতগুলো ব্যাংকিং ও আর্থিক সেবা যেমন রেমিট্যান্স বিতরণ, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান, এটিএম ইত্যাদি সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছে। যা বছর কয়েক আগেও ছিল কল্পনাতীত। অথচ সময় যত গড়াচ্ছে গতানুগতিক ধারার ব্যাংকিং থেকে বেরিয়ে এখন মোবাইল ব্যাংকিং দেশব্যাপী যে কোনো সময়, যে কোনো স্থানে আর্থিক সেবার নিশ্চয়তা মিলছে। একই সঙ্গে সাধারণ মানুষের মধ্যে সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতেও সাহায্য করছে। সাম্প্রতিক সময়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের কারণে দ্রুত ও কম খরচে টাকা লেনদেন বিশেষ করে, গ্রামীণ জনপদে অর্থ প্রবাহ সবচেয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আগের যে কোনো সময়ের তুলনায় বর্তমানে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হওয়ার পেছনেও এই মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখছে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গৃহিত কর্মকাণ্ড ও উদ্যোগও প্রশংসা পেতে পারে। ব্যাংকগুলো যেন জনসাধারণের দোরগোড়ায় মোবাইল ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দিতে পারে সেজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক হতে এখন পর্যন্ত ২৮টি ব্যাংককে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রমের অনুমোদন দিয়েছে। এর মধ্যে ১৮টি ব্যাংক তাদের কার্যক্রম চালু করেছে। আর মোবাইল ব্যাংকিং সেবা পেতে এর মধ্যে প্রায় ৭ লাখেরও বেশি মানুষ হিসাব খুলেছেন।
এর মধ্যে সেবাবহির্ভূত জনগণকে দেশব্যাপী মোবাইল ফোন নেটওয়ার্ক সুবিধা ব্যবহার করে ব্যাংকিং সেবা দিতে ব্যাংকগুলোর অনুসরণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে মোবাইল ব্যাংকিং সংক্রান্ত একটি অপারেটিং নীতিমালাও জারি করা হয়েছে। আর এ নীতিমালার আলোকেই এখন দেশে সর্বত্র মোবাইল ব্যাংকিং চলছে।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের বিপ্লব ও ভবিষ্যৎ ব্যাংক ব্যবসায় এর ভূমিকা প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, প্রযুক্তি সেবায় বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়েছে। ব্যাংকিং সেবায় শিশু, কৃষি ও পোশাক শ্রমিকরা উৎসাহ নিয়ে সম্পৃক্ত হচ্ছে। সম্পৃক্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীরাও। এ পর্যন্ত কৃষকদের ১০ টাকার একাউন্ট ১ কোটি ৩৩ লাখ এবং মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্ট ৭৫ লাখ ছাড়িয়েছে। এর ফলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ব্যাংকিং সেবার সুফল পৌঁছছে। তিনি মনে করেন, এ প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে দারিদ্র্যের হার কমানো সম্ভব। প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে উন্নত ব্যাংকিং সুবিধা সাধারণ মানুষের ব্যয়সীমার মধ্যে চলে আসে। এ পদ্ধতি ব্যাংকিং কার্যক্রমকে সহজ ও ব্যয় সাশ্রয়ী করতে সাহায্য করায় মানুষের মধ্যে সঞ্চয় প্রবণতা বাড়াতে সহায়তা করছে।
ওদিকে দেশে মোবাইল ব্যাংকিং যত প্রসার হচ্ছে, ব্যাংকগুলোর অনলাইন কার্যক্রমও তত বাড়ছে। জানা গেছে, দেশে কার্যরত ৪৯ট ব্যাংকের মধ্যে ৩৭টি ব্যাংক পুরোপুরি ও ৪টি ব্যাংক আংশিক অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু করেছে। বাকি ব্যাংকগুলোতে চালুর পর্যায়ে রয়েছে। এর আওতায় এখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঋণ তথ্য আদান-প্রদানের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে সিআইবি অনলাইন সেবা চালু হয়েছে। এতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহ নিজ নিজ অফিসে সার্চিং করে অনলাইনের মাধ্যমে অতিদ্রুত সিআইবি রিপোর্ট সংগ্রহ করতে পারছে। সিআইবি রিপোর্ট প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আগে যেখানে ৫-৩০ দিন সময় লাগতো বর্তমানে মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই এ রিপোর্ট পাওয়া সম্ভব হচ্ছে। ই-কমার্স কার্যক্রমেও জায়গা করে নিয়েছে মোবাইল ব্যাংকিং। এর মাধ্যমে অনলাইনে ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, তহবিল স্থানান্তর ও ক্রেডিট কার্ডভিত্তিক ইন্টারনেট পেমেন্ট চালু হয়েছে।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের ধাক্কায় কর্মকৌশলে পরিবর্তন ব্যাংকগুলোর : বর্তমানে দেশের সব স্থানেই কম-বেশি ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। আর প্রযুক্তি প্রত্যাবর্তনের এ যুগে তাই ব্যাংকের নীতিনির্ধারকরা এখন গতানুগতিক ধারার ব্যাংকিং থেকে বেরিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিংয়ের (মোবাইল ব্যাংকিংয়ের একটি বড় দৃষ্টান্ত) দিকেই ঝুঁকছেন। একই সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক ব্যাংকিংয়ে উপায় খুঁজছেন কি করে তার একজন গ্রাহককে সর্বোচ্চ সেবা দিতে পারেন। এ লক্ষ্যে অনুমোদিত ব্যাংকগুলো বিভিন্ন মোবাইল অপারেটর কোম্পানির সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে উন্নত সফ্টওয়্যার সাহায্যে কতগুলো সাংকেতিক নম্বর ব্যবহার ব্যবহারের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে একাধিক ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে চলছে মোবাইল ব্যাংকিংকে কিভাবে আরও সহজতর ও গণমুখী করা যায় তার গবেষণা কার্যক্রমও।
যুক্ত লক্ষাধিক এজেন্ট, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান : বর্তমানে ব্যাংকগুলো মোবাইল ব্যাংকিং পরিচালনায় প্রায় লক্ষাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এজেন্ট হিসেবে যুক্ত রয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর ফলে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পাওয়া তথ্যমতে, এ সংখ্যা এখন ৭৫ লাখ দাঁড়িয়েছে। দুই-একটি ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত মোবাইল ব্যাংকিং বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে এবং জনগণের আস্থাও অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
শ্রমবাজারগুলোর রেমিট্যান্স সংগ্রহ : দেশে কার্যরত বিভিন্ন ব্যাংক বিভিন্ন নামে ও আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সংস্থাগুলোর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে বিশ্বের প্রায় সবগুলো দেশ থেকেই এখন প্রবাসীদের রেমিট্যান্স সংগ্রহ করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে দেশের কার্যক্রম চালু রয়েছে এমন সব মোবাইল অপারেটরগুলোর সাহায্য-সহযোগিতা নেয়া হচ্ছে। জানা গেছে, মোবাইল অপারেটর কোম্পানি বাংলালিংকের ও রবির সঙ্গে ইস্টার্ন ব্যাংক যৌথভাবে সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এপ্রিল ২০১০ থেকে তাদের এ কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর ২০১২ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী পাওয়া হিসাব অনুযায়ী নিবন্ধিত ৩৯৩ কাস্টমার কেয়ারের মাধ্যমে ১৩৮৬ এজেন্ট মোট ৩৫ কোটি ৯৬ লাখ টাকার লেনদেন করেছে। একইভাবে ঢাকা ব্যাংক বাংলালিংকের সঙ্গে ৫৯৪ কাস্টমার সার্ভিস ও ১৭৮৬ এজেন্টের মাধ্যমে ১১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা লেনদেন করেছে। এর বাইরে এবি ব্যাংক যুক্ত রয়েছে মোবাইল অপারেটর কোম্পানি সিটিসেলের সঙ্গে। অন্যদিকে সাউথইস্ট ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক লিমিটেড ও যমুনা ব্যাংক বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থ দেশে আনতে সহযোগিতা করছে।
সিজিএপি স্ট্যাডি ২০১২ অনুযায়ী প্রদেয় তথ্যমতে, দেশে বিদ্যমান সব মোবাইল অপারেটরগুলোর সঙ্গে নিবন্ধিত ৮৮৭ কাস্টমার সার্ভিস ও ৩৬৭০ এজেন্টের মাধ্যমে মোট ৪৭ কোটি ৪৮ লাখ টাকা দেশে এসেছে। ট্রাস্ট ব্যাংক ও ডাচ্বাংলা ব্যাংক যৌথভাবে মোবাইল অপারেটর কোম্পানি টেলিটকের প্রযুক্তি জেনওয়েব-২ ও এয়ারটেলের প্রযুক্তি সাইবেজ-৩৬৫ ব্যবহার করে মোট ৭৭৬ কোটি ৩ লাখ টাকা, ব্রাক ব্যাংকের বিকাশ সার্ভিস ফানডেমো (ভিসা) প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলালিংক, রবি ও গ্রামীণফোনের অপারেটরের সাহায্যে এ পর্যন্ত ২৪৮৮ কোটি ৫৫ লাখ টাকাসহ অন্যান্য অনুমোদিত ব্যাংকগুলো মোবাইল অপারেটরগুলোর সাহায্যে বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে মোট ৩২৬৪ কোটি ৬৪ লাখ টাকা দেশে এনেছেন। আন্তর্জাতিক শ্রমবাজারগুলো থেকে প্রবাসীদের রেমিট্যান্স সংগ্রহ করতে এখন দেশের ৯টি ব্যাংক কাজ করছে। ব্যাংকগুলো হচ্ছে ইস্টার্ন ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, এবি ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, ন্যাশনাল ক্রেডিট অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এনএ ও যমুনা ব্যাংক। অন্যদিকে পূর্ণাঙ্গভাবে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল কার্যক্রম চালু করেছে এমন ব্যাংকগুলো হচ্ছে ট্রাস্ট ব্যাংক, ডাচ্বাংলা ব্যাংক, ব্রাক ব্যাংক/বিকাশ, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড, ওয়ান ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক ও আইএফসি ব্যাংক।
ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমেও মোবাইল ব্যাংকিং : স্বল্প পরিসরে হলেও এখন ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রমেও মোবাইল ব্যাংকিংকে নিয়ে আসা হয়েছে। তবে এর জন্য গ্রাহককে সংশ্লিষ্ট ঋণদানকারী কিংবা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত মোবাইল ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করতে হবে। ঝামেলাবিহীন ঋণ পেতে ও ঋণের সুদ কমিয়ে আনতেই এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
এ কার্যক্রমের আওতায় এই কার্ড ব্যবহার করে আগ্রহী ঋণ গ্রহীতা সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঋণ সুবিধা পাচ্ছেন। এ কার্যক্রমে আইটি সুবিধা থাকার কারণে জনবলের সম্পৃক্ততা কমে যাওয়ায় এবং সময় ও ব্যয় কমে আসায় মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ক্ষুদ্রঋণকারী গ্রাহকের সুদের হারও কম হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান জানান, ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থাপনায় মোবাইল ব্যাংকিং চালু হওয়ায় সেবাভিত্তিক ক্ষুদ্রঋণ দানকারী প্রতিষ্ঠানের জনবলের সম্পৃক্ততা, সময় ও ব্যয় কমবে। এতে করে (ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থা) এমএফআই’র কস্ট অব ফান্ড কমে আসবে। আর কষ্ট অব ফান্ড কমার কারণে ক্ষুদ্রঋণে সুদ হারও কম হবে। তিনি বলেন, ক্ষুদ্রঋণে মোবাইল ক্রেডিট কার্যক্রম শুরু হওয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মূল লক্ষ্য তৃণমূলে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণও বাড়বে। পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলিকুজ্জামানও মনে করেন, ক্ষুদ্র ঋণ ব্যবস্থাপনায় বর্তমানে সর্বোচ্চ ২৭ শতাংশ সুদ নেয়া হচ্ছে। কিন্তু এ কার্যক্রমে আধুনিক আইটি সুবিধা চালু হলে ভবিষ্যতে এর ঋণে সুদের হারও কমে আসবে।
একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পেও : তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাংকিং চালু হয়েছে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পেও। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে ১০টিরও অধিক ব্যাংক এ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হয়েছে। এর ফলে এ প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগীরা সরকার ও সংশ্লিষ্ট সেবাপ্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক ও পরামর্শ সুবিধা ভোগ করছে।
রয়েছে ঝুঁকিও : সব কিছুতেই দুই-একটি নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া থাকে। মোবাইল ব্যাংকিংয়েও এ নেতিবাচক প্রভাবের বাইরে নয়। তবে এতে তথ্যপ্রযুক্তির কোনোও দোষ নেই। এ পদ্ধতিতে যে জালিয়াতি হওয়ার সুযোগ রয়েছে, সেটি শুধু মানুষের মানসিকতার কারণেই হচ্ছে। যেমন এর মাধ্যমে দেশের টাকা বাইরে পাচার হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো এ প্রক্রিয়ায় সহযোগী জঙ্গিগোষ্ঠীকে গোপনে আর্থিক সহায়তা দেয়ার সুযোগ পাচ্ছে। এছাড়াও মোবাইল ব্যাংকিং সঠিকভাবে পরিচালিত না হলে একজনের অর্থ অন্যজনের কাছে চলে যাওয়া কিংবা হাতিয়ে নেয়ার সুযোগ রয়েছে। 
সূত্র: দৈনিক যুগান্তর, ১০ নভেম্বর ২০১৩

,

0 comments

আপনার মন্তব্য লিখুন