শঙ্কা বাড়ছে ব্যাংকপাড়ায়

দিন যত এগোচ্ছে তাতে শঙ্কা আরও বাড়ছে। একের পর এক রাজনৈতিক কর্মসূচির কারণে ব্যাংক-বীমা অধ্যুষিত মতিঝিলের এ এলাকা ক্রমেই মানবশূন্য হচ্ছে।  বিরোধী জোটের ডাকা টানা ৮৪ ঘণ্টা হরতালের গতকাল প্রথম দিন বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিল অনেকটা ফাঁকা ছিল। ব্যাংকগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও গ্রাহক ও লেনদেন কম। যারা ব্যাংকে এসেছে তারাও রয়েছেন আতঙ্কে। সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার কার্যসূচির প্রথম ঘণ্টা থেকে শেষ ঘণ্টা অবধি ব্যাংকগুলোতে দেখা গেছে এমনই চিত্র। গ্রাহকরা বলছেন, হরতালে যেভাবে ককটেল ছোড়া হচ্ছে আর বিনিময়ে আসছে গুলি তাতে কেউ নিরাপদ নয়। তারা বলেন, পুরো দেশই এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। ফুটপাথ ব্যবসায়ীরা জানান, ভয়ে ভয়ে থাকি কখন কি হয়ে যায়। তার পরও বের হতে হয় পেটের তাগিদে। হরতাল যারা ডাকে আর যারা বিপক্ষে তাদেরই লাভ, আমাদের মতো সাধারণ মানুষের কোন লাভ নেই। হরতালে ভাঙচুর হবে, গাড়ি পোড়াবে, মানুষ মারবে। যারা হরতাল ডাকে তাদের কোন ক্ষতি হবে না। ক্ষতি হবে আমাদের। একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী জানান, টানাটানির সংসার। একদিন আয় করলে দুই দিন বসে খায়। সারাদিন ব্যবসা করে সব খরচ বাদ দিয়ে তিন থেকে চার শ’ টাকা থাকে। তিনি বলেন, হরতালে ঠিকমতো ব্যবসা করতে পারি না। ব্যবসা করতে না পারলে সংসার চলবে না। এদিকে হরতাল চলাকালে মতিঝিলে যান চলাচল ছিল খুবই সীমিত। রাজধানীর ব্যস্ততম এলাকা মতিঝিল, দৈনিকবাংলা, কমলাপুর, ফকিরাপুল এলাকার সড়ক ছিল প্রায় ফাঁকা। এসব এলাকায় রাস্তার মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বেশি দেখা গেছে। রায়ট কার (পুলিশের সাঁজোয়া যান), জলকামান নিয়ে রাস্তায় টহল দিতে দেখা গেছে। পুলিশ ও র‌্যাবের পাশাপাশি  সাদা পোশাকের পুলিশও মাঠে দেখা যায়। ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও বেসরকারি এনসিসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল আমিন বলেন, বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে কর্মকর্তাদের উপস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে লেনদেন কম হচ্ছে।
সূত্র: দৈনিক মানবজমিন, ১১ নভেম্বর ২০১৩

,

0 comments

আপনার মন্তব্য লিখুন