ব্যাংকের শেয়ারে লেনদেন বাড়ছে আশান্বিত বিনিয়োগকারীরা
শেয়ারবাজারে
দীর্ঘদিন ধরে ব্যাংকের শেয়ার
দর নিম্নমূখী প্রবণতায় থাকার পর ধীরে
ধীরে এ খাতে সুদিন
ফিরতে শুরু করেছে।
গত ৮ কার্যদিবসে ঢাকা
স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এ খাতের
শেয়ার লেনদেন হয়েছে প্রায়
৮৪৪ কোটি টাকা।
যা এ সময়ে বাজারের
মোট লেনদেনের ২২ ভাগেরও বেশি। লেনদেন
বাড়ার সঙ্গে বেশিরভাগ ব্যাংকের
শেয়ার দরও বেড়েছে।
২৫ থেকে ৩০ ভাগ
পর্যন্ত দর বেড়েছে কোনো
কোনো শেয়ারের। তবে
গত তিনদিন ধরে এ
খাতে কিছুটা দর সংশোধনও
হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজারে ব্যাংকিং খাতের মূলধন অনেক বেশি। তাই এ খাতের ওঠানামার মাধ্যমে শেয়ারবাজারের সূচক ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়। গত ৮ দিন ধরে এ খাতের শেয়ারের দাম বাড়ায় ডিএসই'র সূচক বেড়েছে আড়ইশ' পয়েন্টেরও বেশি। একটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ব্যাংকিং খাতে যদি লেনদেন ভালো হয় তবে শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতায় তা ইতিবাচক হবে। কারণ, এ খাতে বিনিয়োগ করে অনেক বিনিয়োগকারীর অর্থই আটকে গেছে। অপ্রত্যাশিতভাবে ব্যাংকের শেয়ার দর তলানীতে চলে আসায় বিনিয়োগকারীরা লগ্নিকৃত অর্থ বের করতে পারেননি। ফলে তাদের লেনদেন ক্ষমতা কমে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে অন্য খাতের উপরও। তাছাড়া অনেকে মার্জিন লোনের (ব্রোকারের কাছ থেকে নেয়া ঋণ) মাধ্যমে শেয়ার কেনায় ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর অর্থও আটকে গেছে। যা বাজারের মোট লেনদেনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ব্যাংকের শেয়ার ইতিবাচক হলে আটকে যাওয়া টাকা তরল হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। পাশাপাশি সূচকও ইতিবাচক হতে পারে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেয়ারবাজারে ব্যাংকিং খাতের মূলধন অনেক বেশি। তাই এ খাতের ওঠানামার মাধ্যমে শেয়ারবাজারের সূচক ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হয়। গত ৮ দিন ধরে এ খাতের শেয়ারের দাম বাড়ায় ডিএসই'র সূচক বেড়েছে আড়ইশ' পয়েন্টেরও বেশি। একটি সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ব্যাংকিং খাতে যদি লেনদেন ভালো হয় তবে শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতায় তা ইতিবাচক হবে। কারণ, এ খাতে বিনিয়োগ করে অনেক বিনিয়োগকারীর অর্থই আটকে গেছে। অপ্রত্যাশিতভাবে ব্যাংকের শেয়ার দর তলানীতে চলে আসায় বিনিয়োগকারীরা লগ্নিকৃত অর্থ বের করতে পারেননি। ফলে তাদের লেনদেন ক্ষমতা কমে গেছে। এর প্রভাব পড়েছে অন্য খাতের উপরও। তাছাড়া অনেকে মার্জিন লোনের (ব্রোকারের কাছ থেকে নেয়া ঋণ) মাধ্যমে শেয়ার কেনায় ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর অর্থও আটকে গেছে। যা বাজারের মোট লেনদেনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ব্যাংকের শেয়ার ইতিবাচক হলে আটকে যাওয়া টাকা তরল হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। পাশাপাশি সূচকও ইতিবাচক হতে পারে।
ব্যাংক
কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে
জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে
বেশিরভাগ ব্যাংকের আয় কমে যাওয়ার
পাশাপাশি অনেক ব্যাংক লসের
মধ্যেও পড়েছে। শ্রেণীকৃত
ঋণ তফসিলিকরণ নীতিমালায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোরতা ও দেশের সার্বিক
বিনিয়োগ পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় ব্যাংকগুলোর
ইপিএস (শেয়ারপ্রতি আয়) ভয়ানকভাবে কমে
যায়। ফলে
ব্যাংকের শেয়ার দর কমতে
থাকে। অনেক
ব্যাংকের শেয়ারদর ফেসভ্যালুর কাছাকাছি চলে আসে।
তবে ইপিএস কমলেও এ
শেয়ারগুলোর দাম যতটা কমেছে
তা প্রত্যাশিত নয়। তাই
এখন কিছুটা দাম বাড়লে
ব্যাংকের শেয়ার দর সঠিক
জায়গায় ফিরবে বলেই মনে
করছেন সংশ্লিষ্টরা।
একাধিক
ব্রোকারেজ হাউস ঘুরে দেখা
গেছে, ব্যাংকের শেয়ার দর বাড়ায়
বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আশার সঞ্চার
হয়েছে। কারণ
শেয়ারবাজার স্থিতিশীলতার জন্য ব্যাংকের শেয়ারের
সঠিক মূল্যায়ন থাকা প্রয়োজন।
তাছাড়া ব্যাংকের শেয়ারে অনেকের বিনিয়োগ
আটকে থাকায় তারাও কিছুটা
আশাবাদী হচ্ছেন। সূত্রে
জানা গেছে, নির্বাচনকে কেন্দ্র
করে শেয়ারবাজার কিছুটা ইতিবাচক করার
ব্যাপারে সরকার আন্তরিক।
এজন্য প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এগিয়ে আসছে।
আর সূচক বাড়াতে বেশিরভাগ
ক্ষেত্রেই তারা বিনিয়োগ করছে
ব্যাংকিং খাতে। ফলে
এ খাতের দর বাড়ছে।
সূত্র: দৈনিক যুগান্তর, ১৪ নভেম্বর ২০১৩
0 comments
আপনার মন্তব্য লিখুন