লাখো মানুষের ভোজ একঘরে
প্রতিদিন একটা
রান্নাঘর থেকে
এক
লাখ
মানুষকে খাওয়ানো হয়। হ্যাঁ,
নিশ্চিত পাঠকরা
প্রথম
লাইনটি
পড়েই
ভিড়মি
খেয়েছেন। কিন্তু ঘটনা
সত্যি। সংখ্যাটা একশ’
বা
এক
হাজার
নয়। ভারতের
অমৃতসর
শহরের
স্বর্ণ
মন্দিরের রান্নাঘর থেকে
প্রতিদিন এক
লাখ
মানুষকে খাওয়ানো হয়। প্রতিদিন দুইশ’
হাজার
রুটি,
দেড়
টন
ডাল
এবং
অন্যান্য ফল
ও
সবজি
এক
লাখ
মানুষকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা
হয়। হিসাব
অনুযায়ী, অমৃতসরের স্বর্ণ
মন্দিরের রান্নাঘরটিই পৃথিবীর সবচেয়ে
বড়
রান্নাঘর।
বিশাল এই রান্নাঘর যার তত্ত্বাবধানে চলে তিনি হলেন ম্যানেজার হারপ্রিত সিং। নামে ম্যানেজার হলেও হারপ্রিত মেজাজে ও ভাবে মাতোয়ারা নানক ভক্ত। তিনি বলেন, ‘যে কেউ এখানে বিনামূল্যে খাবার খেতে পারেন। আমরা প্রতিদিনই এক লাখ মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করি। তবে ছুটির দিন বা কোনো অনুষ্ঠানের দিন হলে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ মানুষের জন্য রান্না করতে হয়। রান্নাঘরের চুলা কখনও বন্ধ হয় না। প্রতিদিন গড়ে সাত হাজার কিলোগ্রাম গমের ময়দা, এক হাজার দুইশ’ কিলোগ্রাম ভাত, এক হাজার তিনশ’ কিলোগ্রাম ডাল, পাঁচশ’ কিলোগ্রাম ঘি ব্যবহৃত হয় খাবারের জন্য। রান্নাঘরের জ্বালানি হিসেবে কাঠ, এলপিজি গ্যাস এবং বৈদ্যুতিক রুটির যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। প্রতিদিন একশটি এলপিজি গ্যাস সিলিণ্ডার এবং পাঁচ হাজার কিলোগ্রাম জ্বালানি কাঠ রান্না করতে লাগে।’
এই রান্নাঘর সামলাতেও অনেক মানুষের প্রয়োজন হয়। মন্দিরের নির্ধারিত সেবায়ত ছাড়াও ভক্তদের ভেতর থেকে অনেকেই স্বেচ্ছাশ্রম দেন রান্নাঘরটিকে চালাতে। তেমনি একজন হলেন সঞ্জয় আরোরা (৪৬)। তিনি মাসে দুই দিন দিল্লি থেকে এসে এই রান্নাঘরের কাজে স্বেচ্ছায় সহায়তা করেন। তার মতো অনেকেই আছেন যারা নিজ ইচ্ছায় এই স্বেচ্ছাশ্রম দেন। সঞ্জয় বলেন, ‘এটা আমার পক্ষ থেকে সেবা। এই কাজটা করার পর আমার খুব আনন্দ হয়। আসলে ব্যাপারটা শুধু বিনামূল্যে খাবার নয়, এখানে জাত-পাত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এক কাতারে মিশে যায়। মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ থাকে না।’ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতিদিন তিন লাখ থালা, চামচ, বাটি ধুতে হয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তদের দেয়া অনুদানের মাধ্যমেই বিশাল এই রান্নাঘরের ভরণপোষণ চলে।
সূত্র: দৈনিক যুগান্তর, ১৯ নভেম্বর ২০১৩
বিশাল এই রান্নাঘর যার তত্ত্বাবধানে চলে তিনি হলেন ম্যানেজার হারপ্রিত সিং। নামে ম্যানেজার হলেও হারপ্রিত মেজাজে ও ভাবে মাতোয়ারা নানক ভক্ত। তিনি বলেন, ‘যে কেউ এখানে বিনামূল্যে খাবার খেতে পারেন। আমরা প্রতিদিনই এক লাখ মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করি। তবে ছুটির দিন বা কোনো অনুষ্ঠানের দিন হলে স্বাভাবিকের চেয়ে দ্বিগুণ মানুষের জন্য রান্না করতে হয়। রান্নাঘরের চুলা কখনও বন্ধ হয় না। প্রতিদিন গড়ে সাত হাজার কিলোগ্রাম গমের ময়দা, এক হাজার দুইশ’ কিলোগ্রাম ভাত, এক হাজার তিনশ’ কিলোগ্রাম ডাল, পাঁচশ’ কিলোগ্রাম ঘি ব্যবহৃত হয় খাবারের জন্য। রান্নাঘরের জ্বালানি হিসেবে কাঠ, এলপিজি গ্যাস এবং বৈদ্যুতিক রুটির যন্ত্র ব্যবহার করা হয়। প্রতিদিন একশটি এলপিজি গ্যাস সিলিণ্ডার এবং পাঁচ হাজার কিলোগ্রাম জ্বালানি কাঠ রান্না করতে লাগে।’
এই রান্নাঘর সামলাতেও অনেক মানুষের প্রয়োজন হয়। মন্দিরের নির্ধারিত সেবায়ত ছাড়াও ভক্তদের ভেতর থেকে অনেকেই স্বেচ্ছাশ্রম দেন রান্নাঘরটিকে চালাতে। তেমনি একজন হলেন সঞ্জয় আরোরা (৪৬)। তিনি মাসে দুই দিন দিল্লি থেকে এসে এই রান্নাঘরের কাজে স্বেচ্ছায় সহায়তা করেন। তার মতো অনেকেই আছেন যারা নিজ ইচ্ছায় এই স্বেচ্ছাশ্রম দেন। সঞ্জয় বলেন, ‘এটা আমার পক্ষ থেকে সেবা। এই কাজটা করার পর আমার খুব আনন্দ হয়। আসলে ব্যাপারটা শুধু বিনামূল্যে খাবার নয়, এখানে জাত-পাত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাই এক কাতারে মিশে যায়। মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ থাকে না।’ স্বেচ্ছাসেবকদের প্রতিদিন তিন লাখ থালা, চামচ, বাটি ধুতে হয়। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তদের দেয়া অনুদানের মাধ্যমেই বিশাল এই রান্নাঘরের ভরণপোষণ চলে।
0 comments
আপনার মন্তব্য লিখুন