ক্যাডার কর্মকর্তাদের আবাসিক টেলিফোন বিল সুবিধা বাড়ল প্রায় দ্বিগুণ

ক্যাডার কর্মকর্তাদের আবাসিক টেলিফোন বিল সুবিধা বাড়িয়ে প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে সম্প্রতি বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ জারি করা হয়

জানা গেছে, আবাসিক টেলিফোন সুবিধা নীতিমালা, ২০০৪ অনুযায়ী শ্রেণী বা সচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের বাসার টেলিফোন বিল সুবিধা আগের মতো আনলিমিটেড বা একেবারে ফ্রি রাখা হয়েছে। অর্থাৎ সচিবদের বাসার ফোনে যত বিলই হোক না কেন, তা ব্যক্তিগত তহবিল থেকে পরিশোধ করা লাগবে না। এরপরের ধাপে শ্রেণীতে রয়েছেন অতিরিক্ত সচিব যুগ্মসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা। যাদের বিল মওকুফ সুবিধা হাজার ৮শ টাকা থেকে বাড়িয়ে হাজার ৮শ টাকা করা হয়েছে। শ্রেণীতে উপসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের জন্য হাজার ৫শ টাকার সিলিং বাড়িয়ে হাজার ৬৫০ টাকা এবং শ্রেণীতে সিনিয়র সহকারী সচিব সহকারী সচিবের হাজার ২শ টাকার সিলিং বাড়িয়ে করা হয়েছে হাজার ৯৫০ টাকা। এছাড়া সবশেষে শ্রেণীর ক্ষেত্রে ৯৭৫ থেকে বাড়িয়ে হাজার ৪২৫ টাকায় উন্নীত করা হয়েছে। শ্রেণীর সুবিধা কারা পাবেন তা দফতর প্রধানরা ঠিক করে দেবেন। এর আগে ২০০৯ সালের ১১ মার্চ কলভিত্তিক সিলিং প্রথা উঠিয়ে দিয়ে টাকার আগে বিল সুবিধা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে চার বছর পর এভাবে প্রায় দ্বিগুণ হারে আবাসিক টেলিফোন বিলের মওকুফ সুবিধা বাড়ানোর পেছনে বেশির ভাগ কর্মকর্তা যৌক্তিক কোনো কারণ খুঁজে পাননি।

প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সচিবালয়ে কর্মরত বেশ কয়েকজন ক্যাডার কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, বর্তমানে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রে মোবাইল বা মুঠোফোন বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে। কারণে ল্যান্ড টেলিফোনের ব্যবহার নেই বললেই চলে। এর মধ্যে অফিসের ল্যান্ডফোন কিছুটা ব্যবহার হলেও বাসার ল্যান্ডফোন তেমন একটা ব্যবহার হয় না। প্রতিটি ধাপে যে সুবিধা বিদ্যমান ছিল তার অর্ধেক টাকার বিলও কর্মকর্তাদের বাসার ল্যান্ডফোনে কখনও আসে না। একজন যুগ্মসচিব বলেন, মোবাইল ফোনের খরচ কিছুটা কমানোর জন্য তিনি বাসায় থাকাকালীন ইচ্ছে করেই ল্যান্ডফোন বেশি ব্যবহার করেন। একইভাবে পরিবারের অন্য সদস্যরা ল্যান্ডফোনে বেশি কথা বলে থাকেন। তারপরও প্রতি মাসে তার বাসার ল্যান্ডফোনে সর্বোচ্চ বিল আসে হাজার থেকে ১২শ টাকা। অথচ তার প্রাপ্য সিলিং ছিল হাজার ৮শ টাকা। প্রায় একই রকম তথ্য দেন কয়েকজন অতিরিক্ত সচিব উপসচিব। কিন্তু এখন তো বাড়িয়ে দিগুণের বেশি করা হয়েছে। তারা এর যৌক্তিকতা খুঁজে পাননি। তারা বলেন, বরং মোবাইল ফোনের বিল সুবিধা বাড়ালে বেশি উপকার হবে। কেননা বেশির ভাগ কর্মকর্তাকে সরকারি কাজে ব্যক্তিগত মোবাইল থেকে যে হারে কথা বলতে হয় তাতে নিজের পকেট থেকেই বাড়তি টাকা খরচ হয়ে যায়।
দৈনিক যুগান্তর, ০৬ নভেম্বর, ২০১৩

,

0 comments

আপনার মন্তব্য লিখুন