সংশোধন হবে বীমা প্রবিধান


বীমা খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রণয়নকৃত বিধি প্রবিধানগুলোতে সংশোধনী আনা হচ্ছে। এ লক্ষ্যে বীমা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশনের (বিআইএ) সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে বেশ কিছু প্রবিধানের সংশোধনী প্রস্তুত করে সমপ্রতি অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)।
বীমা খাতে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ২০১০ সালে 'বীমা আইন-২০১০' এবং বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ) প্রতিষ্ঠা করে সরকার। ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠা পেলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যক্রম শুরু হয় ২০১১ সালের ২৬ জানুয়ারি। কার্যক্রম শুরুর পর থেকেই বীমা খাতের উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিতে শুরু করে আইডিআরএ। এসব পদক্ষেপের মধ্যে অন্যতম হলো বীমা কোম্পানির বিধি প্রবিধান তৈরি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে বীমা কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম তদারকির সুবিধার্থে শুরু থেকেই এ বিষয়ে কাজ শুরু করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা। বীমা খাতের বিভিন্ন বিষয়ে প্রবিধানের খসড়া প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠায় আইডিআরএ। যাচাই-বাছাই শেষে বিভিন্ন সময় প্রবিধানগুলো পাস করে মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, ইতোপূর্বে পাসকৃত প্রবিধানগুলোর মধ্যে কয়েকটি নিয়ে বীমা খাতে অসন্তুষ্টি দেখা দেয়। এসবের মধ্যে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা সংক্রান্ত বিধি-২০১৩, প্রকাশিত প্রসপেকটাস পরিদর্শন ও অনুলিপি সরবরাহ বিধিমালা-২০১৩, বীমা কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ও অংশীদারিত্ব বিধিমালা-২০১৩, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (জীবন বীমা পলিসি গ্রাহকদের নিরাপত্তা তহবিল) প্রবিধানমালা-২০১৩, বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (পলিসি দাবির রেজিস্ট্রারসমূহ) প্রবিধানমালা-২০১৩, রিভিউ-এর (সময়, ফরম ও ফি) প্রবিধানমালা-২০১৩, পুনঃবীমা (শর্তাদি নির্ধারণ) প্রবিধানমালা-২০১৩ প্রভৃতি। সূত্রমতে, প্রবিধানে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগ বিষয়ে যেসব শর্ত দেয়া হয়েছিল সেগুলো পালন করতে বীমা কোম্পানিগুলোকে হিমশিম খেতে হতো। এছাড়া বয়স, অভিজ্ঞতা, শিক্ষাগত যোগ্যতা সব শর্তই যোগ্য মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে। একইভাবে অন্য প্রবিধানগুলোর বাস্তবিক প্রয়োগের ক্ষেত্রেও বেশ সমস্যা দেখা দিয়েছে। তাই প্রবিধান পাশের পর থেকেই বীমা কোম্পানিগুলো এসব বিষয়ে আপত্তি তুলে আসছে। তাই কোম্পানিগুলোর কার্যক্রম পরিচালনার সুবিধার্থে সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে আলোচনা করে প্রবিধানগুলোতে সংশোধনী আনা হচ্ছে।
সূত্র: দৈনিক যায় যায় দিন, ১৪ নভেম্বর ২০১৩

0 comments

আপনার মন্তব্য লিখুন