কর ফাঁকি উদঘাটনে অডিটে নামছে এনবিআর

কর ফাঁকিবাজদের ধরতে এবার মাঠ পর্যায়ের অডিটে আরো সুসংহতভাবে নামছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ লক্ষ্যে বিগত ২০১২-১৩ কর বর্ষের আয়কর রিটার্নের মধ্য থেকে অডিটের জন্য মামলা নির্বাচন শুরু করেছে সংস্থাটি। ইতিমধ্যে বিভিন্ন কর অঞ্চল থেকে অডিটের জন্য নির্বাচিত করদাতাদের তথ্যাদি পাঠানো শুরু করেছে। দীর্ঘসময় অডিটের আওতায় আসেনি এমন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এবারের অডিটে সবচেয়ে গুরুত্ব পাবে। এছাড়া বিশেষায়িত ও মাঝারি আকারের প্রতিষ্ঠানগুলোকেও তদন্তের আওতায় আনার ওপর গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, করপোরেট প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে আমদানী বা ক্রয়, রফতানী বা বিক্রয়, ট্রেডিং হিসাব, স্থায়ী সম্পদের সংযোজন ও অবচয়, ব্যাংক হিসাব, পণ্য উত্পাদনের তথ্য, উেস কর কর্তনের বিষয়ে নজর রাখতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানের ট্রান্সফার প্রাইসিংয়ের বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

এবার কর দাতাদের একটি বড় অংশের আয়কর নথি অডিটের আওতায় আনা হচ্ছে। এনবিআরের নিরীক্ষা গোয়েন্দা ও তদন্ত বিভাগের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, কর ফাঁকি ধরতে এবার কঠোর অবস্থানে রয়েছে এনবিআর। কেউই যেন কর ফাঁকি দিয়ে পার না পায় সেজন্য কর অঞ্চলগুলোকে বিশেষ নির্দেশনা দেয়া আছে। এ লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ে অডিট কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। তবে তদন্তের নামে করদাতাদের হয়রানি না করার বিষয়েও তদন্তকারী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে অডিটের জন্য নির্বাচিত করদাতাদের মামলা নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে কতগুলো নির্দেশনা দিয়েছে এনবিআর। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-বোর্ড কর্তৃক নির্বাচিত করদাতাদের তালিকা সার্কেলের নোটিস বোর্ডে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা, নির্বাচিত করদাতাদের আয়কর রিটার্ন নিরীক্ষার জন্য সুনির্দিষ্ট কারণ বা ইস্যুগুলো করদাতাদের অবহিত করে ব্যাখ্যা গ্রহণ করা। তবে ব্যাখ্যা পাওয়া না গেলে বা ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হলে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
 সূত্র: দৈনিক যুগান্তর, ১৩ নভেম্বর ২০১৩

0 comments

আপনার মন্তব্য লিখুন