বাকিতে এলসি খোলার আগে বিনিয়োগ বোর্ডের অনুমোদন

এক বছরের বেশি সময়ের জন্য বাকিতে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি করতে বিনিয়োগ বোর্ডের অনুমোদনের বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা মানছে না অনেক প্রতিষ্ঠান। এখন থেকে ৩৬০ দিনের বেশি মেয়াদি মূলধনী যন্ত্রপাতির ঋণপত্র খোলার আগে বিনিয়োয়োগ বোর্ডের অনুমোদন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। গতকাল এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় নীতিমালার ৩৩ (এ) অনুযায়ী ৩৬০ দিনের বেশি মেয়াদে বাকিতে এলসি খুলতে হলে অনুমোদন নেয়ার বাধ্যবাধকতা আছে। এখন থেকে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি আমদানিকারকের সক্ষমতা যাচাই করে এলসি খোলার নির্দেশনা দেয়া হলো। একই সঙ্গে এ ধরনের এলসি খোলার ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বোর্ডের অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত হতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কোন কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই ৩৬০ দিন বাকিতে মূলধনী যন্ত্রপাতি এবং ১৮০ দিন বাকিতে কাঁচামাল আমদানির এলসি খোলা যায়। তথ্য অনুযায়ী, ইএসই নিটওয়্যার লিমিটেড ৩৬০ দিনের বাকিতে ১১ লাখ ৩৭ হাজার মূল্যের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির ঋণপত্র খুলে। এর পর তার মেয়াদ ৭২০ দিন নির্ধারণের আবেদন করা হয়। 

গরিব অ্যান্ড গরিব নামের একটি প্রতিষ্ঠান ২৬ লাখ ৫০ হাজার ডলার মূল্যের ৩৬০ দিনের বাকিতে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির এলসি খুলে পরবর্তিতে তার মেয়াদ এক হাজার ৮০ দিন নির্ধারণের আবেদন করেছে। এভাবে অনেক প্রতিষ্ঠান মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করছে। সমপ্রতি এ ধরনের আবেদন বাড়ছে। একই সঙ্গে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানির ঋণে ভোগ্যপণ্য আনার নানা অভিযোগ বাংলাদেশ ব্যাংকের সামপ্রতিক এক পরিদর্শন প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। সূত্র: দৈনিক মানবজমিন, ১২ নভেম্বর ২০১৪

,

0 comments

আপনার মন্তব্য লিখুন