স্বল্পমূল্যের অ্যান্ড্রয়েড ফোন তৈরি করছে নকিয়া
অ্যান্ড্রয়েড আর আইফোনের দাপটে লুমিয়া সিরিজের উইন্ডোজ ফোন দিয়ে বাজারে
খুব একটা সুবিধা আদায় করে নিতে পারেনি এক সময়কার মোবাইল রাজত্বে একাধিপত্য
করা নকিয়া। কেবল উইন্ডোজ ফোন নিয়েই কাজ শুরু করলেও নকিয়াও অ্যান্ড্রয়েড
ফোন তৈরি করে স্মার্টফোনের বাজারের প্রতিযোগিতায় নিজেদের ফিরে পেতে
গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে বলে খবর ছিল আগেই। তবে মাইক্রোসফটের কাছে বিক্রি হয়ে
যাওয়ার ঘটনায় নকিয়ার সেই অ্যান্ড্রয়েড প্রজেক্ট আলোর মুখ দেখবে না বলেই
ধারণা ছিল সকলের। তবে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন সেই
ধারণাকে মিথ্যা প্রমাণ করতে যাচ্ছে। তাদের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ মাসেই
প্রথমবারের মতো একটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন বাজারে ছাড়বে নকিয়া।
ইতোমধ্যেই এই স্মার্টফোনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে তারা।
আনুষ্ঠানিকভাবে নকিয়ার কাছ থেকে কোনো বক্তব্য না পাওয়া গেলেও বিশ্বস্ত
সূত্রেই নকিয়ার এই অ্যান্ড্রয়েড ফোনের খবর জানা গেছে বলেই দাবি করেছে ওয়াল
স্ট্রিট জার্নাল। রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোনের বাজারে
স্বল্পমূল্যের স্মার্টফোনগুলোই রাজত্ব করায় এই বাজারে নিজেদের অবস্থানকে
শক্তিশালী করে তুলতে নিজেরাও স্বল্পমূল্যের অ্যান্ড্রয়েড ফোন নিয়ে আসার
পরিকল্পনা নিয়েছে নকিয়া। শীঘ্রই মাইক্রোসফট কর্তৃক আত্মীকৃত নকিয়ার
হ্যান্ডসেট বিভাগ চলতি মাসের শেষের দিকে বার্সেলোনায় অনুষ্ঠিতব্য মোবাইল
ওয়ার্ল্ড কংগ্রেসে তাদের এই অ্যান্ড্রয়েড ফোনটি অবমুক্ত করবে। বাজারে
নিজেদের খুঁজে ফেরা নকিয়ার জন্য এই অ্যান্ড্রয়েড প্রজেক্ট যথেষ্টই কার্যকর
হতে পারে বলেই ধারণা করছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা। কেননা, গত বছরে
স্মার্টফোনের বাজারে প্রায় ৮০ শতাংশ ছিল অ্যান্ড্রয়েডের দখলেই। অ্যাপল'র
আইওএস-এর দখলে ছিল ১৫ শতাংশ বাজার। আর উইন্ডোজ ফোনের বিক্রি ছিল মাত্র ৪
শতাংশ। অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মধ্যে আবার হাই-এন্ড স্মার্টফোনের তুলনায়
স্বল্পমূল্যের ফোনগুলোর বিক্রিই ছিল বেশি। উন্নয়নশীল ও অনুন্নত
দেশগুলোতে বিপুল পরিমাণ স্বল্পমূল্যের অ্যান্ড্রয়েড ফোনই মূলত
স্মার্টফোনের বাজারকে এতটা বাড়িয়ে তুলেছে। সে কারণেই অ্যান্ড্রয়েডে
নিজেদের ভবিষ্যত দেখার আশা নকিয়া করতেই পারে বলে অভিমত বিশ্লেষকদের। তবে
মাইক্রোসফটের নকিয়া অধিগ্রহণের পর অ্যান্ড্রয়েড প্রজেক্ট কতদূর অগ্রসর
হবে, সেটা বড় একটি প্রশ্ন হয়েই থাকছে। নকিয়া এবং মাইক্রোসফট—কারও কাছ
থেকেই আনুষ্ঠানিক বক্তব্য না পাওয়া সেই প্রশ্নের কোনো উত্তর দিচ্ছে না। সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০১৪
0 comments
আপনার মন্তব্য লিখুন