সোনালী ব্যাংক লিমিটেডে ৬ মাসে ৫ বার সুদহার পরিবর্তন

গত বছরের ছয় মাসে পাঁচবার আমানতের সুদহার পরিবর্তন করেছে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংক লিমিটেড। বিডিনিউজ

ব্যাংকটির ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট ডিভিশনের আমানতের সুদ হার নির্ধারণবিষয়ক সার্কুলার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত ২০ জুন এক সার্কুলার জারি করে ব্যাংকটি আমানতের সুদহার পুনঃনির্ধারণ করে, যা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়।

এরপর ২১ আগস্ট, ৬ অক্টোবর, ১০ নভেম্বর এবং সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর আলাদা আলাদা সার্কুলার জারি নতুন করে নির্ধারণ করা হয় আমানতের সুদ হার।

সর্বশেষ সার্কুলার অনুযায়ী নতুন সুদহার ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়েছে।

এতে বিভিন্ন স্থায়ী আমানতের বিপরীতে সুদহার দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে ১ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়েছে সোনালী ব্যাংক।

আগের সার্কুলারগুলোতে ব্যাংকটির বিভিন্ন আমানত স্কিমে সুদহার বাড়ানো অথবা কমানো হয়েছে।

এছাড়া ব্যাংকটির বিভিন্ন সঞ্চয় প্রকল্প যেমন মাসিক উপার্জন প্রকল্প, ডাবল বেনিফিট স্কিমেও পরিবর্তন আনা হয়। এগুলোও এক ধরনের আমানত।

২০১২ সালে সোনালী ব্যাংকের হলমার্ক কেলেঙ্কারিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে গ্রাহকদের অনেকেই আমানত তুলে নিতে থাকেন।

এরফলে ব্যাংকটি ব্যাপক নগদ অর্থের সংকটে পড়ে। এক সময় ব্যাংকটি কলমানি মার্কেটের ধার দেয়ার অবস্থান থেকে সরে এসে ধার নেওয়া শুরু করে। অনেক সময় কলমানি থেকেও ধার পায়নি রাষ্ট্রের এই সর্ববৃহৎ ব্যাংক। ওই সময় বাংলাদেশ ব্যাংক স্পেশাল লিকুইডিটি সাপোর্ট দিয়ে টিকিয়ে রাখে।

যে কারণে আমানত সংগ্রহ বাড়ানোর জন্য সোনালী ব্যাংক আমানতের সুদহার বাড়িয়ে দেয়। বিশেষকরে মেয়াদি আমানতের সুদহার বাড়ায় দেড় শতাংশ।

তারল্য সংকট কেটে গেলে ব্যাংকটি পুনরায় আমানতের সুদহার কমাতে শুরু করে।

প্রথম দুটি সার্কুলারে বিভিন্ন মেয়াদি আমানতে সুদহার বাড়ানো হলেও শেষ তিনটি সার্কুলারে তা কমানো হয়েছে।

সোনালী ব্যাংক দেশের সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক ব্যাংক। ব্যাংকটির বর্তমানে ১২০১টি শাখা রয়েছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ব্যাংকটির মোট আমানত প্রায় ৬০ হাজার কোটি টাকা।
সূত্র: দৈনিক আমাদের অর্থনীতি, ৭ জানুয়ারী ২০১৪

,

0 comments

আপনার মন্তব্য লিখুন