এসএমইতে ৮৯,০০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতে চলতি বছর প্রায় ৮৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। এ ক্ষেত্রে অধিক কর্মসংস্থ্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে উৎপাদনশীল খাতে ঋণ বিতরণে জোর দেয়ার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে এক খাতের ঋণ অন্য খাতে দেখানোর বিষয়ে কর্মকর্তাদের সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া ঋণের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার ওপর জোর দেয়া হয়েছে। গতকাল রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আজ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এসএমই বিভাগের সভাকক্ষে মহাব্যবস্থাপক মো. মাছুম পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সব ব্যাংকের প্রতিনিধি ছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক আবুল বাশার, এসএম ফেরদৌস হোসেন ও আশ্রাফুল আলম, যুগ্ম-পরিচালক এসএম মোহসিন হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। চলতি বছর ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এসএমইতে মোট ৮৮ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। ২০১৩ সালের তুলনায় যা ১৪ হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা বা প্রায় ২০% বেশি। গত বছর সব প্রতিষ্ঠান মিলে ৭৪ হাজার ১৮৭ কোটি টাকা বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল। সর্বশেষ সেপ্টেম্বরের হিসাব অনুযায়ী, ৯ মাসে তাদের ৬২ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা বিতরণ হয়েছে, যা মোট লক্ষ্যমাত্রার ৮৪%। এর আগে ২০১২ সালের একই সময়ে এসএমইতে ৪৯ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা বিতরণ হয়েছিল। সে হিসেবে একই সময়ের তুলনায় এ খাতে ঋণ বিতরণ বেশি হয়েছে ১২ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা, যা প্রায় ২৬%। বৈঠক শেষে মাছুম পাটোয়ারী গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এসএমই অর্থায়ন বাড়াচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলো সতর্কতার সঙ্গে ঋণ বিতরণ করলেও অনেক সময় অন্য খাতের ঋণ এসএমইতে দেখানোর অভিযোগ শোনা যায়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এ ধরনের অভিযোগ সঠিক নয়। তবে অনেক সময় শাখা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের অসর্কতা বা না বোঝার কারণ অন্য খাতের ঋণ এসএমইতে দেখানোর ঘটনা ঘটতে পারে। তার পরও কোন অবস্থ্থাতেই যেন এমন না হয় সে বিষয়ে ব্যাংকারদের সতর্ক করা হয়েছে। একই সঙ্গে অধিক কর্মসংস্থ্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে উৎপাদনশীল খাতে তাদের বিনিয়োগ বাড়াতে বলা হয়েছে। তিনি জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন কর্মসূচির আওতায় নারী উদ্যোক্তারা যেন ১০% সুদে ঋণ পায় তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। নীতিমালার আলোকে ব্যাংকগুলো এসএমই ঋণ বিতরণ করছে কিনা নিয়মিতভাবে তা তদারক করা হবে। এছাড়া সব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব এসএমই ঋণ নীতিমালার সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালায় কোন ধরনের পার্থক্য রয়েছে কিনা তা পর্যালোচনার জন্য শিগগিরই সব ব্যাংকের এমডি পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি বৈঠক করা হবে। একই সঙ্গে ক্লাস্টারভিত্তিক অর্থায়ন বাড়ানোর জন্য ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে। 
সূত্র: দৈনিক মানবজমিন, ১৬ জানুয়ারী ২০১৪

,

0 comments

আপনার মন্তব্য লিখুন