জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ১১ ভাগ

বিদায়ী বছরে দেশে জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে ১১ ভাগ, অন্যদিকে পণ্য ও সেবা মূল্য বেড়েছে শতকরা ১২ দশমিক ১৭ ভাগ। দেশে ধনী-দরিদ্রের আয়ের বৈষম্য বেড়েই চলেছে। আয়ের সাথে ব্যয়ের অসঙ্গতি প্রতিনিয়ত বাড়ার কারনে দেশের সাধারণ মানুষের মাঝে বাড়ছে হতাশা। এ ধারা রোধ করার জন্য বেকারদের কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। বিদায়ী ২০১৩ সালের দ্রব্যমূল্য ও জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে বার্ষিক প্রতিবেদনে ক্যাব উল্লেখ করেছে, বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধির কারণে মূল শহর থেকে অনেক পরিবার উপশহরে সরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে করে তাদের ছেলে মেয়েদের পড়াশুনা ও যাতায়াতে ভোগান্তি বেড়েছে। গত বছর কৃষি পণ্যের দাম উঠানামা করেছে। বিশেষ করে তরিতরকারী, পেঁয়াজ, রসুন, কাঁচা মরিচ ও মাছের দাম উঠানামা করেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও পণ্যের দাম আশানুরূপ কমেনি। ২০১৩ সালে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে শতকরা ৭ দশমিক ৩০ ভাগ ও জ্বালানী তেলের দাম বেড়েছে ৫ দশমিক ৬৫ ভাগ। তবে কমেছে সয়াবিন তেল, চিনি ও লবনের দাম। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শহর-নগরের বাসা-বাড়ি ভাড়া। ২০১৩ সালে বাসা ভাড়া বেড়েছে প্রায় ১০ দশমিক ৯১ ভাগ।

ক্যাব উল্লেখ করেছে, সিএনজি অটোরিক্সা ও টেক্সি চালকরা সরকার কর্তৃক নির্ধরিত ভাড়ায় যাত্রি বহন করতে চায় না। এই সেক্টরে বিরাজ করছে 'তুঘলকি কান্ড'। স্বাস্থ্যসেবা খাতে চলছে অরাজক অবস্থা। একই মানের ডাক্তার একেক রকম ফি আদায় করছেন।

এ প্রবণতা রোধে সাধারণ মানুষের আয়ের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলাসহ সব ধরনের ব্যয় বৃদ্ধি রোধে রাষ্ট্রীয় কর্মকৌশল উন্নয়নের তাগিদ দিয়েছে ক্যাব। ঢাকা শহরের ১৫টি পাইকারি ও খুচরা বাজার থেকে বিভিন্ন পণ্য ও সেবা সার্ভিসের মূল্য থেকে এ হিসাব করা হয়েছে।
সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক, ২ জানুয়ারী ২০১৪

,

0 comments

আপনার মন্তব্য লিখুন