মানি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর জন্য আসছে নতুন নীতিমালা

সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে মানি এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোতে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময়ের ক্ষেত্রে কঠোর নীতিমালা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে মানি এক্সচেঞ্জার হাউসে বৈদেশিক মুদ্রা কেনাবেচায় গ্রাহকের পক্ষে উপযুক্ত প্রমাণপত্র সংরক্ষণ করা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এ বিষয়ে দেশে কার্যরত মানি এক্সচেঞ্জার হাউসগুলোর মালিকদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সূত্র জানিয়েছে। সূত্র জানায়, সন্ত্রাসে অর্থায়ন বন্ধে বাড়তি সতর্কতামূলক নীতিমালা মানি চেঞ্জার মালিকদের বৈঠকে চূড়ান্ত করা করা হবে। যা আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের মধ্যে মানি চেঞ্জারগুলোকে এ নিয়মকানুন পরিপালনের নির্দেশ দেয়া হবে। ইতিমধ্যে এ কার্যক্রমকে গতিশীল করতে ‘বাংলাদেশ ব্যাংক মানি চেঞ্জার মনিটরিং সিস্টেম’ নামক একটি সফ্‌টওয়্যার তৈরি করা হয়েছে। যেটি ব্যবহারের মাধ্যমে মানি চেঞ্জার হাউসগুলো ধরনের লেনদেনের ক্ষেত্রে তাৎক্ষণিকভাবে তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করতে সক্ষম হবে। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক দাশগুপ্ত অসীম কুমার বলেন, এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর মাধ্যমে দেশের ভেতরে জঙ্গি অর্থায়ন এবং বিদেশে অর্থপাচার রোধে সতর্কতামূলক এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে সন্ত্রাসে অর্থায়ন পরিপূর্ণভাবে নির্মূল করা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সময় গ্রাহকদের সংশিষ্ট মানি একচেঞ্জ থেকে স্বাক্ষরসহ প্রমাণপত্র সংগ্রহ বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। জানা গেছে, বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের জন্য ৬০০ মানি চেঞ্জারকে  লাইসেন্স প্রদান করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। যথাসময়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে ব্যর্থ হওয়ায় এরই মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিলও করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ হিসাব মতে, দেশে ৩৩৬টি মানি চেঞ্জার হাউস তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছে।
সূত্র: দৈনিক মানবজমিন, ২০ নভেম্বর ২০১৩

,

0 comments

আপনার মন্তব্য লিখুন