নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্তেই সুদহার কমানো সম্ভব

ব্যাংকের আমানত ও ঋণের সুদহারের মধ্যকার পার্থক্য (স্প্রেড) ৩ শতাংশে নামিয়ে আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়কে প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)।
সংগঠনটি বলেছে, দেশে এখন এই স্প্রেডের হার ৫ শতাংশ। ব্যাংকের পরিচালন ব্যয়, সঞ্চিতির পরিমাণ, করপোরেট কর ও মুনাফা কমিয়ে আনলে স্প্রেডও কমবে, সুদহারও কমে আসবে।
শুধু তা-ই নয়, নীতিনির্ধারণী কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েই ব্যাংকঋণের উচ্চ সুদহার কমিয়ে আনা সম্ভব। সুদের হার যৌক্তিকীকরণ করতে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নের সুপারিশও রয়েছে এফবিসিসিআইয়ের।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতকে দেওয়া ঋণের সুদহারের ওপর লিখিত প্রস্তাবে এফবিসিসিআই এমন সুপারিশ করেছে। এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি কাজী আকরামউদ্দিন আহ্মদের সই করা প্রস্তাবটি বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়।
সম্প্রতি এফবিসিসিআই আয়োজিত সেমিনারে সুদহার বিষয়ে এফবিসিসিআইকে একটি প্রস্তাব দিতে বলেছিলেন অর্থমন্ত্রী। এর পরিপ্রেক্ষিতেই প্রস্তাবটি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন, ২০১২ সালে সুদহারের ঊর্ধ্বসীমা তুলে নেওয়ার পর থেকে ব্যাংকঋণের সুদহার বাড়ছে। দীর্ঘমেয়াদি মূলধনের ক্ষেত্রে এ দেশে সুদহার বর্তমানে ১৬ থেকে ১৯ শতাংশ। আবার উচ্চ সুদের পাশাপাশি বিভিন্ন নামে আদায় করা হচ্ছে সেবা মাশুল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, স্প্রেড ৫ শতাংশের মধ্যে থাকার কথা থাকলেও বেশ কয়েকটি ব্যাংকের স্প্রেড এখনো এর ওপরে।
এফবিসিসিআইয়ের সুপারিশে আরও বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোকে খাতভিত্তিক ঋণ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ নিশ্চিত করা জরুরি। 
দুই বছরের জন্য প্রকল্প ঋণের সুদহার সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ নির্ধারণ, খেলাপি ঋণের পরিমাণ কমিয়ে আনা এবং প্রয়োজনে নীতিমালা কিছুটা শিথিল করা, নতুন ঋণ শ্রেণীবিন্যাসকরণ নীতিমালার পরিবর্তে আগের নীতিমালাটি বহাল রাখার সুপারিশ করেছে এফবিসিসিআই।
সুত্র: দৈনিক প্রথমআলো,  ০৩ নভেম্বর, ২০১৩

0 comments

আপনার মন্তব্য লিখুন