পদ্মা সেতুর কার্যাদেশ প্রদানকালে রিজার্ভ থেকে অর্থ নেয়া হবে: মুহিত

পদ্মা সেতুর কার্যাদেশ প্রদানকালে রিজার্ভ থেকে অর্থ নেয়ার প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। গতাকল সচিবালয়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমইএ)-এর প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি একথা জানান। সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলামিন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। সাক্ষাৎকালে বিটিএমইএ নেতারা কারখানার যন্ত্রপাতি আমদানির জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা চাইলে মুহিত বলেন, পদ্মা সেতুর কার্যাদেশ দেয়ার সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা লাগবে। তাই সে সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করতে পারবে না। এ ছাড়া চট্টগ্রামের শিল্প কারখানার গ্যাস সমস্যার সমাধানে সময় লাগবে বলেও জানান তিনি। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে বিটিএমএ নেতারা ক্ষতিগ্রস্ত স্পিনিং মিলের জন্য সরকার কর্তৃক প্রদত্ত ৫ শতাংশ বিশেষ নগদ সহায়তা প্রাপ্তিতে সৃষ্ট সমস্যা দূরীকরণ এবং স্থানীয় এলসি ও ব্যাক টু ব্যাক এলসির ওপর থেকে উৎসে কর অব্যাহতি প্রদানের দাবি জানান। নগদ সহায়তা প্রাপ্তিতে সৃষ্ট সমস্যার বিষয়ে বিটিএমএ নেতারা বলেন, উচ্চমূল্যে তুলা ক্রয়ের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত স্পিনিং মিলের জন্য গত ২০১১ সালের ২০শে সেপ্টেম্বর সরকার কর্তৃক এককালীন ৫ শতাংশ বিশেষ নগদ সহায়তা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এ নগদ সহায়তা লাভে এফ-ই সার্কুলারের ৭ ধারা মোতাবেক ‘এক্সপোর্ট পারফরম্যান্স (ইএক্সপি) ফরম, বিল-অব-এক্সপোর্ট/শিপিং বিলের কপি পেশ করা স্পিনিং মিল মালিকদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। কারণ স্পিনিং মিলগুলো সরাসরি রপ্তানিমুখী তৈরী পোশাক শিল্পের সঙ্গে জড়িত নয়। রপ্তানিমুখী ফেব্রিক্স/তৈরী পোশাক শিল্পের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে রপ্তানির সঙ্গে জড়িত। স্থানীয় এলসির ওপর থেকে উৎসে কর অব্যাহতি প্রদানের দাবির প্রসঙ্গে বিটিএমএ নেতারা বলেন, লোকাল এলসির মাধ্যমে ক্রয়কৃত তুলার মূল্য পরিশোধের সময় উৎসে কর কর্তন টেক্সটাইল পণ্যের সামগ্রিক রপ্তানির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। এটি তুলার মূল্য বাড়িয়ে দিচ্ছে এবং এর ফলে সুতার মূল্যও বেড়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে ব্যাক টু ব্যাক এলসির মাধ্যমে রপ্তানিপণ্য তৈরির সঙ্গে জড়িত আনুষঙ্গিক পণ্যসমূহ ক্রয়ের ক্ষেত্রেও উৎসে কর অব্যাহতি প্রদানের অনুরোধ জানান তারা। 
সূত্র: দৈনিক মানবজমিন, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০১৪

0 comments

আপনার মন্তব্য লিখুন