৫৫ হাজার দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরির প্রকল্প অনুমোদন

বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম অর্জনের ধারাবাহিকতায় এবার ৫৫ হাজার দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরির বিশেষ প্রকল্পটি রোববার অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেক। সরকারের লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৯২০ জন সাংবাদিককেও আউটসোর্সিং বিষয়ে সচেতন করবে সরকার। পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রকল্পটির ওপর ১৮ সেপ্টেম্বর প্রথম উপ-একনেক (পিইসি) সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরিকল্পনা কমিশনের আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ কর্তৃক প্রকল্পটির অনুমোদন বিবেচনার সুপারিশ করা হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে রোববার চূড়ান্তভাবে অনুমোদন পেয়েছে প্রকল্পটি। পরিকল্পনা কমিশনের এক কর্মকর্তা জানান, প্রকল্পটি রোববার একনেক সভায় চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দেয়া হবে। প্রকল্পটি যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে দেশ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে এবং ইন্টারনেট ভিত্তিক কার্যক্রমের এক নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। সভায় সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একনেক সভায় এ প্রকল্পটিসহ মোট ১২টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১০টি সরকারি অর্থায়নে এবং ২টি প্রকল্প সরকারি ও প্রকল্প সাহায্যের যৌথ অর্থায়নে বাস্তবায়ন করা হবে। লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮০ কোটি ৪০ লাখ টাকা। এ ব্যয় সরকারি খাত থেকে মেটানো হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) মন্ত্রণালয়। প্রকল্পটির প্রধান উদ্দেশ্য দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরির মাধ্যমে নতুন নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং আউটসোর্সিং বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি। পাশাপাশি মাস্টার ট্রেইনার তৈরির মাধ্যমে তৃণমূল পর্যায়ে সম্প্রসারণ করা হবে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কার্যক্রম। প্রকল্পটির প্রধান কার্যক্রম হবে, ইউনিয়ন পর্যায়ে ২০ হাজার নারীকে বেসিক আইটি লিটারেসি প্রশিক্ষণ প্রদান এবং ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে ২৫ হাজার জনকে আউটসোর্সিং ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বেসিক আইটি শিক্ষা দেয়া। প্রকল্পের আওতায় উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে ১০ হাজার জনবলকে বিশেষায়িত আউটসোর্সিং কাজে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আগাম আইটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে। এছাড়া আউটসোর্সিং বিষয়ে দেশব্যাপী মেলা, আঞ্চলিক পর্যায়ে ফ্রিল্যান্স বিষয়ে ওয়ার্কশপ, কনফারেন্স ও সেমিনার আয়োজন করা হবে। ৮০টি ল্যাপটপ, ৮০টি মডেম, ৪০টি পেন ড্রাইভ, ৫টি মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর, ১টি ফটোকপিয়ারসহ প্রয়োজনীয় অফিস ইকুইপমেন্ট সংগ্রহ এবং ১টি মাইক্রোবাস, ১টি জিপ ও ১টি ক্যারাভান জিপ কেনা হবে এ প্রকল্পের আওতায়। বর্তমান সরকারের ভিশন-২০২১ অর্জনের জন্য আইসিটি সেক্টরকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার- ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইতিমধ্যে সরকারের বিভিন্ন সংস্থায় ই-গভর্নেন্স বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশে অনলাইন আউটসোর্সিং প্রসারের ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে প্রকল্পটি হাতে নেয়া হয়েছে।
সূত্র: দৈনিক যুগান্তর, ২৭ জানুয়ারি ২০১৪

,

0 comments

আপনার মন্তব্য লিখুন